রহস্যময় এই পৃথিবীর অনেক কিছুই এখনো মানুষের অজানা। পৃথিবীতে অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে যে আরো কত অজানা প্রাণী রয়ে গেছে তা চিন্তা করা যায় না। সব প্রাণীরই নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিন্তু এমন কতকগুলো প্রাণী রয়েছে যেগুলো দেখলে মনে হবে এগুলোর অস্তিত্ব কি আসলেই রয়েছে?
আজকে (পর্ব- ০২) আমরা এমনি কিছু অদ্ভুত, বিচিত্র এবং বিরল প্রাণী সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
11/ ব্লবফিশ
এটি অস্ট্রেলিয়ার গভীর জলে বাস করে, এই মাছ সমুদ্রের গভীরে পানির অত্যন্ত চাপের মধ্যে জীবন যাপন করার ফলে চামড়া অনেক পুরু হয়। আঠালো এই মাছটি বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে।
12/ কমন্ডর
বড় প্রজাতির কুকুরের মধ্যে একটি, এটির পুরো শরীর ঝাড়ুর মতো দেখতে সাদা কোঁকড়া লোম দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি আসলে এক ধরণের শক্তিশালী কুকুর।
13/ সী পিগ
আয়তনের দিক থেকে অতি ক্ষুদ্র এই প্রাণীটি সমুদ্রতলে বসবাস করে। এটি দেখতে অনেকটা শূকরের মতো। এরা আটলান্টিক, প্যাসিফিক ও ভারত মহাসাগরে প্রায় পাঁচ কি.মি নিচে দেখা যায় এবং ১,০০০ বা ততোধিক গ্রুপের মধ্যে জীবিত থাকতে পারে।
14/ গরিয়াল
এটি সাধারণত ভারতের উত্তরাঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়, কুমিরের এই বিশাল প্রজাতিটি তার জীবনের বেশীরভাগ সময়ই পানিতে থাকতে পছন্দ করে। এটি কুমির প্রজাতির মধ্যে ভিন্ন, এরা দৈর্ঘ্যে সবচেয়ে লম্বা হয়, নাক অন্যান্যদের তুলনায় লম্বা এবং লেজ খুব খাটো এবং দুর্বল। এরা রোদ পোহানো এবং ডিম পারার জন্য ছাড়া দাঙ্গায় আসে না।
15/ শোবিল
এটি সারস পাখির সাথে সম্পর্কিত এবং হুইলহেড নামেও পরিচিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাখিগুলোর মধ্যে একটি এবং এরা ৩ ফুট (১মিটার) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের ঠোঁট জুতার মতো দেখতে, পাখা নীল রঙের হলেও দেখতে কিছুটা অন্যরকম লাগে। এই পাখির বসবাস আফ্রিকার সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে।
16/ সাইগা
অ্যান্টিলোপটি দেখতে খুবই অনন্য, সাইগা তার বিচিত্র নাকের জন্য পরিচিত। সাইগার নাকের অংশ যথেষ্ট বড় এবং শিং যথেষ্ট লম্বা। এরা ঘাস কিংবা গুল্মজাতীয় ঝোপঝাড়ের জায়গা বেশী পছন্দ করে। মানুষের অনাধিকারপ্রবেশের মাধ্যমে আক্রমণের কারণে বর্তমানে এরা প্রায় বিলুপ্তির পথে।
17/ লং-ইয়ার জারবোয়া
এটি ইঁদুরের মতো দেখতে এবং ক্যাঙ্গারুর সাথে এদের অনেক মিল রয়েছে। যেমন- পিছনের পা লম্বা, সামনের পা ছোট, লেজ লম্বা এবং ক্যাঙ্গারুর মতো লাফিয়ে চলে। অসাধারণ শ্রবণশক্তির উপর নির্ভর করে এরা রাতে শিকার করে এবং শিকার হওয়া থেকে নিজেদেরকে বাঁচায়। এদেরকে সাধারণত উত্তর চীন এবং মঙ্গোলিয়াতে বেশী দেখতে পাওয়া যায়।
18/ ফ্রগফিশ
এটি এংলার ফিস বা ছদ্মবেশী মাছ হিসেবেও পরিচিত। এই মাছ বিভিন্ন রূপ এবং রঙ ধারণ করতে পারে, তাই এ মাছের সত্যিকার রঙ কেমন তা বলা কঠিন। মাঝেমধ্যে এই ছদ্মবেশের কারণে এদের চিহ্নিত করা মুশকিল হয়ে ওঠে। ফ্রগফিশ খুবই দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং শিকার ধরা ও আত্মরক্ষার জন্য এরা রূপ পরিবর্তন করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে সাগরতলের আবহাওয়া এদের জন্য বিশেষ উপযোগী বলে এ অঞ্চলেই এদের বেশী দেখা যায়।
19/ আয়ে-আয়ে
মাদাগাস্কারের সামান্য কিছু অঞ্চলে দেখা পাওয়া আয়ে-আয়ে প্রাণীটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নিশাচর প্রাণী। এটি অনন্য কৌশলে তন্ন তন্নভাবে শিকার খুঁজে বের করে এবং এরা গাছের ডালে কিংবা কান্ডে বড় বড় গর্ত তৈরি করে লুকিয়ে থেকে শিকার ধরে থাকে। তাদের চোখগুলো খুব অদ্ভুত ধরণের, এদের বড় বড় কান এবং ধারালো দাঁত রয়েছে।
20/ স্পহিন্স বিড়াল
এই অদ্ভুত প্রজাতির বিড়ালটি লোমহীন এবং অত্যন্ত বহির্ভূত আচরণের জন্য পরিচিত। তারা বেশিক্ষণ বাইরে থাকতে পারে না কারণ তারা অতি সহজেই রোদে পোড়ে এবং হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়।










